এল ক্লাসিকোতে হারের পর থেকেই বার্সেলোনা শিবিরে একের পর এক সঙ্কট। চেলসির বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ০–৩ ভরাডুবি, তারপর ঘরোয়া লিগ ম্যাচেও নড়বড়ে ফুটবল। দলের অধিনায়ককে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানো। সেই প্রেক্ষাপটে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে ম্যাচটা কঠিন পরীক্ষা ছিল। যেখানে পিছিয়ে পড়েও ৩–১ স্কোরলাইনে জিতে বার্সা শুধু চাপ সামলালো না, লা লিগা টেবিলে প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৪ পয়েন্ট এগিয়ে খেতাব ধরে রাখায় নিজেদের জায়গাও মজবুত করল।
ম্যাচের শুরুতে অস্থিরতা। হাই লাইনে খেলতে গিয়ে বার্সেলোনা বারবার ধাক্কা খেল, বরাবরের মতো। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে দেরি করেনি আতলেতিকো। আলেক্স বাইয়েনা ডিফেন্স ফাঁকি দিয়ে গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। প্রথমে অফসাইড সন্দেহে থমকে গিয়েছিল উদ্যাপন, কিন্তু ভিএআর জানিয়ে দেয়—গোল বৈধ।
চাপ কাটতেই বার্সার পাল্টা আঘাত। ফিট হয়ে দলে ফেরা পেদ্রির থ্রু–পাস থেকে দারুণ গোল রাফিনহার। বল নিয়ে ইয়ান ওবলাককে কাটিয়ে ফাঁকা গোলে পাঠিয়ে টিমকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। সুযোগ ছিল ব্যবধান বাড়ানোর। দানি ওলমোকে ফেলে দেওয়ায় পেনাল্টি পায় বার্সা। কিন্তু অভিজ্ঞ রবার্ট লেওয়ানডস্কি বল আকাশে তুলে দিলেন। যেটুকু ক্ষতিপূরণ সম্ভব, সেটা করেন ওবলাক—ইয়ামালের ক্রস থেকে লেওয়ার হেডারও বাঁচান তিনি।
যদিও দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ পুরোপুরি ঘুরে যায়। লেওয়ানডস্কির একার চেষ্টায় বক্সে তৈরি হল গোলের সুযোগ। আর ওলমো চিরাচরিত ঠান্ডা মাথায় ফিনিশ করেন—২–১। গোলের সময় পড়ে গিয়ে কাঁধে চোট পেয়ে তিনি মাঠ ছড়লেও ম্যাচ ততক্ষণে বার্সার নিয়ন্ত্রণে।
আতলেতিকো-ও পাল্টা আঘাতের জমি পায়। বদলি থিয়াগো আলমাদা দারুণ স্প্রিন্ট করছিলেন, কিন্তু শট নেওয়ার মুহূর্তে ভারসাম্য হারান। একাধিকবার। বলতে গেলে, ডি-বক্সে অন্তিম সময়ে ব্যলান্স হারিয়েই ম্যাচ থেকে ছিটকে গেল আতলেতিকো। একেবারে শেষ লগ্নে বালদের পাস থেকে গোল করেন ফেররান তোরেস। জয় নিশ্চিত বার্সেলোনার।
ম্যানেজার হ্যান্সি ফ্লিক ম্যাচ শেষে আপ্লুত। বললেন, ‘এটাই সেই বার্সা, যাকে আমরা খুঁজছিলাম। এটা আমাদের পরবর্তী ধাপ।’রাফিনহাও সুরে সুর মিলিয়ে বললেন—‘এমন ম্যাচ জিততে গেলে লড়াই, আত্মবিশ্বাস—সবকিছু দরকার।’
জয়ের সুবাদে পাঁচ ম্যাচের টানা জয়ের পাশাপাশি লিগ লিড আরও শক্ত হল বার্সার। অন্যদিকে আতলেতিকোর ১৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকায় ছেদ। টাইটেল রেসে এই তিন পয়েন্ট হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ। কাল রাতে যার সাক্ষী রইল নব-উন্মোচিত ন্যু-ক্যাম্পে আসা দর্শক।
ম্যাচের শুরুতে অস্থিরতা। হাই লাইনে খেলতে গিয়ে বার্সেলোনা বারবার ধাক্কা খেল, বরাবরের মতো। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে দেরি করেনি আতলেতিকো। আলেক্স বাইয়েনা ডিফেন্স ফাঁকি দিয়ে গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। প্রথমে অফসাইড সন্দেহে থমকে গিয়েছিল উদ্যাপন, কিন্তু ভিএআর জানিয়ে দেয়—গোল বৈধ।
চাপ কাটতেই বার্সার পাল্টা আঘাত। ফিট হয়ে দলে ফেরা পেদ্রির থ্রু–পাস থেকে দারুণ গোল রাফিনহার। বল নিয়ে ইয়ান ওবলাককে কাটিয়ে ফাঁকা গোলে পাঠিয়ে টিমকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। সুযোগ ছিল ব্যবধান বাড়ানোর। দানি ওলমোকে ফেলে দেওয়ায় পেনাল্টি পায় বার্সা। কিন্তু অভিজ্ঞ রবার্ট লেওয়ানডস্কি বল আকাশে তুলে দিলেন। যেটুকু ক্ষতিপূরণ সম্ভব, সেটা করেন ওবলাক—ইয়ামালের ক্রস থেকে লেওয়ার হেডারও বাঁচান তিনি।
যদিও দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ পুরোপুরি ঘুরে যায়। লেওয়ানডস্কির একার চেষ্টায় বক্সে তৈরি হল গোলের সুযোগ। আর ওলমো চিরাচরিত ঠান্ডা মাথায় ফিনিশ করেন—২–১। গোলের সময় পড়ে গিয়ে কাঁধে চোট পেয়ে তিনি মাঠ ছড়লেও ম্যাচ ততক্ষণে বার্সার নিয়ন্ত্রণে।
আতলেতিকো-ও পাল্টা আঘাতের জমি পায়। বদলি থিয়াগো আলমাদা দারুণ স্প্রিন্ট করছিলেন, কিন্তু শট নেওয়ার মুহূর্তে ভারসাম্য হারান। একাধিকবার। বলতে গেলে, ডি-বক্সে অন্তিম সময়ে ব্যলান্স হারিয়েই ম্যাচ থেকে ছিটকে গেল আতলেতিকো। একেবারে শেষ লগ্নে বালদের পাস থেকে গোল করেন ফেররান তোরেস। জয় নিশ্চিত বার্সেলোনার।
ম্যানেজার হ্যান্সি ফ্লিক ম্যাচ শেষে আপ্লুত। বললেন, ‘এটাই সেই বার্সা, যাকে আমরা খুঁজছিলাম। এটা আমাদের পরবর্তী ধাপ।’রাফিনহাও সুরে সুর মিলিয়ে বললেন—‘এমন ম্যাচ জিততে গেলে লড়াই, আত্মবিশ্বাস—সবকিছু দরকার।’
জয়ের সুবাদে পাঁচ ম্যাচের টানা জয়ের পাশাপাশি লিগ লিড আরও শক্ত হল বার্সার। অন্যদিকে আতলেতিকোর ১৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকায় ছেদ। টাইটেল রেসে এই তিন পয়েন্ট হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ। কাল রাতে যার সাক্ষী রইল নব-উন্মোচিত ন্যু-ক্যাম্পে আসা দর্শক।
ক্রীড়া ডেস্ক